মৌখিক পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর আইনজীবী তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তখন উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই থেকে এই পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে ১৫ জুলাই বার কাউন্সিল এই পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করল দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৮ হাজার ৭৬৪ জন। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রে গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা হয়। পরে এসব কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার দিনে এসব কেন্দ্রের পরীক্ষা আবার অনুষ্ঠিত হয়। দুই ধাপে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরীক্ষায় অংশ নেন। ৩০ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৫ হাজার ৩৩৫ শিক্ষার্থী। পরে তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়নের পর আরও ১৩৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা পরিচালনা করতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :