বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অনৈতিক লিখায় পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার পাঁচ পরীক্ষার্থী


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০২৪, ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ /
বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অনৈতিক লিখায় পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার পাঁচ পরীক্ষার্থী
0Shares

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় (গত বছরের ২৩ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত) উত্তরপত্রে নিজ ফোন নম্বর দেওয়া, অর্থের বিনিময়ে পাস করিয়ে দিতে পরীক্ষককে প্রস্তাব, পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত নারী ইনভিজিলেটর সম্পর্কে উত্তরপত্রে অনভিপ্রেত/ অশালীন কথাবার্তা লেখাসহ অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগে পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে পাঁচ বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।

আইনে ডিগ্রি নেওয়া পাঁচ পরীক্ষার্থী হলেন- আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটির (আইআইইউসি) মো. লুৎফর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের (ইউআইটিএস) মোছা. মাকসুদা  পারভীন, ঢাকার মেট্রোপলিস আইডিয়াল ল’ কলেজের (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বরিশাল ল’ কলেজের (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) মো.  মনিরুজ্জামান ও ঝিনাইদহের শহীদ জিয়াউর রহমান ল’ কলেজের (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আনিসুর রহমান।

রবিবার (২৪ মার্চ) বার কাউন্সিলের সচিব আবদুর রহমান সরদার স্বাক্ষরিত এক  বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আইনের শিক্ষার্থী এবং আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার একজন শিক্ষানবিশ প্রার্থীর তরফ থেকে  বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িতত্বপ্রাপ্ত বিচারকের নিকট এই ধরনের অনৈতিক প্রস্তাব রাখা গোটা আইন অঙ্গনকে কলুষিত করার শামিল। সেই সাথে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বার কাউন্সিলের জন্যও এই ধরনের ঘটনা ভীষণ রকম অবমাননাকর। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বার কাউন্সিলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার দায়ে বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটি পাঁচ জনকে ৫ বছর করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।

প্রসঙ্গত, আইনে ডিগ্রি নেওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য জন্য প্রথমে বার কাউন্সিলের এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে কৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা অ্যাডভোকেট হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলা বারে মামলায় শুনানি করতে পারেন।

0Shares