নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের অ্যাপ নৈপুণ্য নিয়ে শিক্ষকদের ২৯টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ৮ নভেম্বর। শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এ অ্যাপ নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হচ্ছে। সেসব প্রশ্নের উত্তর সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়েছে মাউশি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়নপদ্ধতির তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপটি উন্নয়ন করা হয়েছে। এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দায়িত্বে রয়েছে। ইতিমধ্যে এর গাইডলাইন মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনায় কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, হিন্দুধর্ম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সপ্তম শ্রেণির গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের নির্দেশনা, শিক্ষার্থীর উপাত্ত সংগ্রহের ছক, ষষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন ট্রান্সক্রিপ্টে সংশোধন করা হয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংশোধনীগুলো সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে। ৭ নভেম্বর নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। এরপর ৯ নভেম্বর সেটির সংশোধনী প্রকাশ করা হলো।

গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।

নতুন শিক্ষাক্রমের নৈপুণ্য অ্যাপের ২৯ প্রশ্নের উত্তর দেখতে ক্লিক করুন এখানে