বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ স্থায়ী শিক্ষক বাধ্যতামূলক


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ৭:০৯ অপরাহ্ণ /
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ স্থায়ী শিক্ষক বাধ্যতামূলক
0Shares

ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পাঠদান করানো অধিকাংশ শিক্ষকই পার্টটাইম চাকরি করেন। স্নাতক বা কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে ক্লাস চালিয়ে নেন মালিকরা। দু-তিনজন শিক্ষক দিয়েই চালান পুরো স্কুল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা’ জারি করায় সেই সুযোগ আর থাকছে না। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো স্কুলগুলোতে কমপক্ষে ৬ জন স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া শিক্ষক থাকতে হবে। তাদের নিয়োগও হবে কঠোর নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে।

বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এ ধারার উপবিধি-২-এ বলা হয়েছে, বিধিমালার অধীন প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ন্যূনতম ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। উপবিধি-৩ অনুযায়ী—শিক্ষক নিয়োগের জন্য বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। তাতে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাসহ অন্যান্য বিষয়াদি উল্লেখ থাকতে হবে।

৪ ও ৫ নম্বর উপবিধিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নির্দিষ্ট একটি বোর্ড থাকবে। এ বোর্ডে অবশ্যই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার একজন প্রতিনিধি থাকবেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা থাকলে, তা শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে জানাতে হবে। শিক্ষকের বেতন-ভাতা বহন করবে বিদ্যালয়।

অন্যদিকে স্কুলের কোনো শাখায় ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। কোনো ক্লাসে ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী হলে তখন আরেকটি শাখা খুলতে হবে। একই সঙ্গে প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক হবে। নিবন্ধিত হতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে এসব শর্ত বেঁধে দিয়েছে সরকার।

শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। এতে সই করেন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-১ অধিশাখার উপসচিব আক্তারুন্নাহার। সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল নিয়ন্ত্রণে গত ফেব্রুয়ারিতে উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিধিমালা প্রস্তুত করে তা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সবশেষ আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এসআরও নম্বর পাওয়ার পর বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।

0Shares