১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি: পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জানালো এনটিআরসিএ


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ /
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি: পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জানালো এনটিআরসিএ
0Shares

৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ চলছে। যা চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদনের পর প্রার্থীদের বাছাই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তিন ধাপের বাছাইয়ের প্রথমেই দিতে হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কোনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরীক্ষা গ্রহণ করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ৩০ নভেম্বরের পর এ বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে আয়োজন করা হবে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে আমরা নির্বাচনের পর পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। নির্বাচনের আগে পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা কম।’

এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা দেখে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। নির্বাচনের আগে পরীক্ষা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে নির্বাচনের পর সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলে জানুয়ারি মাসেই পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।

এনটিআরসিএ’র পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে হবে সে বিষয়ে ৩০ নভেম্বরের পর আলোচনা করা হবে। আবেদন সংখ্যা কম হলে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।’

এর আগে গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর করে কাটা পড়বে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।

0Shares