জবির বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ


Shikkha Songbad প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ /
জবির বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
0Shares

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আসন পাওয়া বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হলের আবাসিকতা লাভ, বসবাসের শর্তাবলি এবং আচরণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১-এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীরা হলে সিট পাবে না। তারা অতিদ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে হলের যেসব ছাত্রীর মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাদেরও অতিদ্রুত হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনো মানোন্নয়ন (মাস্টার্স) পরীক্ষার্থী বা এমফিল ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হল কতৃপক্ষের এমন নোটিশের পর হলে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া মিলছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মাস্টার্স পড়ুয়া এক ছাত্রী বলেন, বিয়ে করেছি বলে তো আর ছাত্রত্ব চলে যায়নি। হলে থাকতে অসুবিধা কোথায়? আমাদের অনেকের স্বামী ঢাকার বাইরে থাকেন, আমরা কেবল পড়াশোনার জন্যই ঢাকায় একা বসবাস করছি। এখন হল ত্যাগ করলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবো।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, হলের বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনো বিবাহিত ছাত্রী হলে সিটের আবেদন কর‍তে পারবেন না। আমরা বিধি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রী আছেন যাদের বাবা নেই, মা নেই, আর্থিক সংকটের মধ্যে আছে। তারা হলের সিটের জন্য কান্নাকাটি করেন। তাদের আসলেই হলে সিট প্রয়োজন। সিট পেলে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সুবিধা হবে। কিন্তু অনেক বিবাহিত মেয়েরা আছেন যাদের খরচ বহন করার পরিবারের সামর্থ্য আছে। প্রয়োজনে তারা আমাদের কাছ থেকে হল ছাড়তে সময় চাইতে পারেন। আমরা সেটি কনসিডার করব।

বিবাহিত কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্রীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত শিথিল হবে কি না জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট বলেন, এ বিষয়ে ট্রেজারার স্যার ভালো বলতে পারবেন।

তবে এ বিষয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

0Shares