নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে মানববন্ধন


Shikkha Songbad প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ /
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ ফাঁকা আসনে ভর্তি ও ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিভাগ পরিবর্তনের (মাইগ্রেশন) সুযোগ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি–ইচ্ছুক ও প্রথম বর্ষের একদল শিক্ষার্থী। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে উপাচার্য সৌমিত্র শেখরের কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী চলে গেছেন। চলে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে ২০০। তবে ২০০ শিক্ষার্থী চলে গেলেও তাঁদের শূন্য আসনে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে না। ২০০ আসন খালি রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হচ্ছে।

ভর্তি কার্যক্রম ইতিমধ্যে শেষ হওয়ায় পুনরায় ভর্তি নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি শেষ হওয়ার পর অনেক দিন চলে গেছে। এখন এ ধরনের দাবির কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না আমরা। গত অক্টোবর থেকে আমাদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল, যা ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। এখন আরও একটি ভর্তি পরীক্ষার সময় কাছাকাছি চলে এসেছে। এ অবস্থায় আগের বর্ষের ভর্তি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ৬টি অনুষদে ২৩টি বিভাগে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৯০টি আসনে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষার পর দুবার মেধাতালিকা ও কোটায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে প্রশাসন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভর্তির কোটা পূরণ হয়। এরপর ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস শুরুর পর কিছু শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে চলে যান। যে কারণে প্রায় ২০০ আসন খালি হয়েছে।