ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর বাংলাদেশের একটি প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশে ক্রমবর্ধমান আধুনিক প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয় পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল এবং তড়িৎ কৌশল অনুষদের অধীনে আটটি বিভিন্ন বিভাগে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী প্রদান করে আসছে।
১৯৮০ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। সেসময় এখান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করা যেতো। ১৯৮৩ সালে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ডিইসি) নামে গাজীপুরের বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় ১৯৮৬ সালে সরকারের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ডিইসিকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (বিআইটি) ঢাকাতে রুপান্তরিত করা হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল গড় এলাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০.২৯ একর জমির উপর অবস্থিত।
বর্তমানে ডুয়েটে তিনটি অনুষদের অধীনে নয়টি বিভাগ রয়েছে। এখানে স্নাতক পর্যায়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীধারীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যার বিভিন্ন শাখায় ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের নয়টি পিএইচডি ডিগ্রী প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হল ডুয়েট।
প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬২০ জন ছাত্রছাত্রী প্রকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হয়ে থাকে। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ১০০০০ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৬% ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন।
সূত্র : উইকিপিডিয়া
আপনার মতামত লিখুন :