বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান সদ্য পদত্যাগ করা অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হকের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য এঁর অনুমোদনক্রমে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮’ এর ১২ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, চেয়ারম্যান, ফার্মাকোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা-কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এর শূন্য পদে নিম্নবর্ণিত শর্তে নিয়োগ করা হলো—
ক. উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিযুক্তির মেয়াদ ০৪ (চার) বছর হবে;
খ. উপাচার্য পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন এবং তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদ থেকে অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উপাচার্য পদের অবশিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করবেন;
গ. তিনি বিধি অনুযায়ী উপাচার্যের পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন;
ঘ. উপাচার্য হিসাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮’ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী তাঁর দায়িত্বাবলী পালন করবেন; এবং
ঙ. মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের আদেশক্রম এবং জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বর্ণাঢ্য জীবন :
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএসএমএমইউর ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) সেলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে আইটি প্রতিষ্ঠা, প্রয়োগ এবং অন্তর্ভুক্তির মূল ব্যক্তি।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন ওষুধ সংক্রান্ত নীতি ও নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অল্প কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্যতম, যারা সক্রিয়ভাবে জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ সমর্থন করেছিলেন। তিনি সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স, টেকনিক্যাল কমিটি এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফর্মুলারি এবং বাংলাদেশ কোড অব ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং প্র্যাক্টিসের অন্যতম লেখক।
বিগত ৩২ বছর ধরে তিনি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মেডিকেল শিক্ষকতায় সম্পৃক্ত।
তিনি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) আইটি কমিটির চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও তিনি অ্যাডভারস ইফেক্টিভ ফর ইমিউনাইজেশন, ন্যাশনাল অ্যাডভারস ড্রাগ রিঅ্যাকশন অ্যাডভাইজারি কমিটি এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) ইথিক্স রিভিউ কমিটির সদস্য। তিনি ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিক্স কমিটি এবং ন্যাশনাল ফার্মাকোভিজিল্যান্স গাইলাইন প্রণয়নকারী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :