প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার ফল আগামী সপ্তাহের শেষে


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ৬:০৯ অপরাহ্ণ /
প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার ফল আগামী সপ্তাহের শেষে
0Shares

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল প্রস্তুতের কাজ চলছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে উত্তরপত্র স্ক্যানিংয়ে কাজ শেষ। প্রার্থীর স্বাক্ষর, সঠিকভাবে বৃত্ত পূরণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো যাচাই চলছে এখন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) পলিসি অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের দুজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, বুয়েট নিখুঁতভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ করে। এজন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে, আগামী সপ্তাহে ফল প্রকাশের সম্ভাবনা বেশি। সেটা সম্ভব না হলে পরের সপ্তাহের প্রথম দিকে ফল প্রকাশ হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই কর্মকর্তার মধ্যে একজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ফল প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা দিয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশ করবো। তবে, ফল প্রস্তুতের কাজ করছে বুয়েট। তারা সবসময় নিখুঁতভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রস্তুতের কাজ করে থাকে। এজন্য একটু দেরিও হতে পারে।’

গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশের মতো প্রার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। সেই হিসাবে প্রায় ৯০ হাজার প্রার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেননি।

এদিকে, ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতি এবং হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ায় ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রার্থী অনুপস্থিত দাবি করে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কিছু প্রার্থী। তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন। পাশাপাশি হাইকোর্টে রিট আবেদনও করেছেন।

তবে, তাদের দাবি অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্ম। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম ধাপে পরীক্ষায় প্রার্থী ছিল সাড়ে তিন লাখের বেশি। স্বাভাবিকভাবেই সবার পরীক্ষা ভালো হয়নি। যারা পরীক্ষা ভালো দিতে পারেননি, তারাই বাতিলের দাবি করছেন। এ নিয়ে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই। শুধু বলবো, তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

0Shares