নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু, মানতে হচ্ছে যেসব নির্দেশনা


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ৭:২৫ অপরাহ্ণ /
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু, মানতে হচ্ছে যেসব নির্দেশনা
0Shares

আজ থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু । শিক্ষকদের সাত দিনের এ প্রশিক্ষণ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রথম ধাপে ৪৭৭টি উপজেলা-থানায় ৫০৮টি ব্যাচে শিক্ষক প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ইআইআইএন-ধারী (এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। নির্ধারিত দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ।

 

বেলা ১১টায় ১৫ মিনিটের চা-বিরতি, দুপুর ১টায় এক ঘণ্টা নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি ও বিকেল সোয়া ৩টায় চা-বিরতি থাকবে। এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম। এতে প্রশিক্ষণ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

মানতে হচ্ছে যেসব নির্দেশনা :

১. প্রশিক্ষণ ব্যয় পরিচালনার জন্য উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও ক্ষেত্র বিশেষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় কস্ট সেন্টার হবে এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র বিশেষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। কোর্স সমন্বয়কদ্বয় কোর্স পরিচালকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রশিক্ষণ পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করবেন।

২. সুষ্ঠুভাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য এবং স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিটের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা বরাদ্দ বাজেটের প্রকৃত প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিক যে পরিমাণ বাজেটের প্রয়োজন, সেই পরিমাণ অর্থ আইবাস থেকে উত্তোলন করবেন।

৩. প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজনের জন্য ভেন্যু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই পর্যাপ্ত কক্ষ, প্রশিক্ষণ সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, মাল্টিমিডিয়া ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সুবিধা সংবলিত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে।

৪. প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলাকালে বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে। প্রশিক্ষণের প্রাথমিক ব্যয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নির্বাহ করে প্রশিক্ষণ শেষে প্রকৃত বিল ভাউচার অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনপূর্বক পরিশোধ করতে হবে এবং অবশিষ্ট অর্থ আইবাসেই রেখে দিতে হবে।

৫. পরিচালনার সুবিধার্থে প্রশিক্ষক/প্রশিক্ষণার্থীদের দুপুরের আহার ও নাস্তা বাবদ বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ প্রশিক্ষণের শেষের দিন তাদেরকে প্রদান করতে হবে।

৬. প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নির্দেশিকা ও পাঠ্যবইগুলো প্রতি উপজেলায় প্রেরণের বিষয়ে জেলা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

৭. প্রতিদিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। বেলা ১১টায় ১৫ (পনেরো) মিনিটের চা বিরতি, দুপুর ১টা থেকে ১ (এক) ঘণ্টা নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি এবং বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে ১৫ (পনেরো) মিনিটের চা বিরতি থাকবে।

৮. প্রশিক্ষণের কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব প্রশিক্ষকের সমন্বয়ে উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

৯. বাজেটে তিনজন প্রশিক্ষকের কথা উল্লেখ থাকলেও ক্ষেত্রবিশেষে তিনের কম বা বেশি প্রশিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষকদের দায়িত্ব ও সম্মানী সমহারে বণ্টিত হবে।

১০. ভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রশিক্ষকগণের ভ্রমণ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের বিগত ১৪ জুলাই, ২০২২ স্মারকের নির্ধারিত হার অনুসরণ করতে হবে।

১১. প্রশিক্ষণার্থীদেরকে ও প্রশিক্ষকদেরকে অবহিতকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো অফিস আদেশের অনুলিপি স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিট এ প্রেরণ করবেন।

১২. ঢাকা থেকে আগত পরিদর্শকদের জন্য সার্কিট হাউজে থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে, একই মানের এবং নিরাপত্তা সংবলিত জেলা পরিষদ/উপজেলা পরিষদ ডাক বাংলো কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় রেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

১৩. প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরুর দিন বিকেল ৪টার মধ্যে প্রশিক্ষণার্থীদের তথ্য সংশ্লিষ্ট কোর্স পরিচালক নির্ধারিত গুগল ফরমের মাধ্যমে [https://forms.gl/CchpM4QZDtFy6dTQ6] স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিটে প্রেরণ করবেন।

১৪. সব প্রশিক্ষণার্থীর হাজিরা শিট/সম্মানী শিট/ যাতায়াত ভাতা/ আবাসন ভাতা এবং সব বিল ভাউচার, টপ শিট এবং খাতওয়ারি ব্যয় বিবরণসহ সব কপি স্ক্যান করে পিডিএফ ফরম্যাটে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার ৬ কর্ম দিবসের মধ্যে স্কিমের ই-মেইলে (dnc.ctinfo.23@gmail.com) প্রেরণ করবেন এবং এক সেট অনুলিপি সরকারি রেজিস্টার্ড ডাকে স্কিম ইউনিটে পাঠাতে হবে।

১৫. প্রশিক্ষণ শেষে যদি উত্তোলিত অর্থ অব্যয়িত থেকে যায়, তা প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার ৬ কর্ম দিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

১৬. প্রশিক্ষণ শেষে দ্রুততম সময়ে অডিট কার্যক্রম সমাপ্ত করে অডিট প্রতিবেদন স্কিম পরিচালক বরাবর পাঠাতে হব।

0Shares