অবশেষে অর্থছাড় পেলো এনসিটিবি,পাঠ্যবই ছাপানো শুরু


Shikkha Songbad প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৪, ২০২৩, ৩:৪৭ অপরাহ্ণ /
অবশেষে অর্থছাড় পেলো এনসিটিবি,পাঠ্যবই ছাপানো শুরু
0Shares

টাকার অভাবে নতুন পাঠ্যবই ছাপানো বন্ধ রেখেছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দফায় দফায় চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থছাড় না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) অর্থছাড় মিলেছে। এতে মুদ্রণচুক্তি করে পুরোদমে বই ছাপানো শুরু করেছে এনসিটিবি।

তবে এখনো যত বই ছাপানো বাকি তাতে ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বই ছাপিয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ছাপাখানার মালিক-কর্মীরা।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, অষ্টম-নবমের বই ছাপানো নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এ লটের বইগুলো ছাপাতে কাজের চুক্তি করার মতো অর্থ ছিল না এনসিটিবির। অর্থছাড়ে দেরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও চিঠি চালাচালি করতে হয়েছে বোর্ড চেয়ারম্যানকে। অবশেষে ৩০ নভেম্বর অর্থছাড় মিলেছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থছাড় পেয়েছি। এখন আর সমস্যা নেই। নবম শ্রেণির বই ছাপানোর কাজও শুরু করেছি। দ্রুত বই ছাপাতে যেসব প্রেস প্রাথমিকের বই ছাপিয়ে এখন ফাঁকা রয়েছে, তাদের সঙ্গেও চুক্তি করবো। আশা করি, যথাসম্ভব দ্রুত বই ছাপিয়ে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দিতে পারবো।’

২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ কোটির বেশি বই ছাপাতে হবে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির কয়েকটি বই ছাপানোর কাজ শুরু হলেও নবম শ্রেণির প্রায় ৯৭ ভাগ বই মুদ্রণের কাজ শুরুই হয়নি।

ছাপাখানার কর্মীরা জানান, নবম শ্রেণির বইয়ের ফর্মা অনেক বড়। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম- তিন শ্রেণির মোট বইয়ের প্রায় সমান নবম শ্রেণির বই। তাই এ শ্রেণির বই ছাপানো অনেক সময়ের ব্যাপার। জানুয়ারি মাস পুরোটা কাজ করলে হয়তো ছাপা শেষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির আগে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এনসিটিবি ও ছাপাখানা সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ের মোট বইয়ের ১০ শতাংশ ছাপার কাজ এখনো বাকি। এরমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির প্রায় দেড় কোটি বই ছাপানো বাকি রয়েছে।

নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৯১ শতাংশ এবং সপ্তম শ্রেণিতে ৭৮ শতাংশ বই ছাপা শেষ হয়েছে। তবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাণ্ডুলিপি এখনো ছাপাখানায় পাঠানো হয়নি। অষ্টম শ্রেণির ১৪টি বইয়ের মধ্যে ১১টির ডামি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, নবম শ্রেণির ৯৭ শতাংশ বই এখনো মুদ্রণে যায়নি। অষ্টম ও নবম মিলে সাড়ে ৫ কোটি বই এখনো ছাপানো বাকি রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১১ কোটি বই ছাপানো বাকি, যা মোট বইয়ের ৪০ শতাংশ।

0Shares