প্রাথমিক পর্যায়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুসারে টিভিতে ক্লাসের প্রস্তুতি


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : মার্চ ৩০, ২০২০, ৬:১৩ অপরাহ্ণ / ৫৩২
প্রাথমিক পর্যায়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুসারে টিভিতে ক্লাসের প্রস্তুতি
0Shares

করোনাভাইরাস সতর্কতায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ না কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এমন অবস্থায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মাধ্যমিকের পর এবার প্রাথমিকের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসও সংসদ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ আজ সোমবার বলেন, ‘ক্লাস রেকর্ডিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। টিভিতে ও অনলাইনে কবে থেকে সেগুলো প্রচার করা হবে আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে তা জানাতে পারব।’

এজন্য শিক্ষকরা ঘরে বসে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ২৫ মার্চ মো. ফসিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যালয় ছুটিকালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ঘাটতি হ্রাসে ‘ডিজিটাল ও ডিসট্যান্স লার্নিং’ এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণির শিখন-শেখানোর ভিডিও তৈরি করে সংসদ টেলিভিশন/বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই এসকল ভিডিও দেখে শিখতে পারবে।

এই সময়ে শিক্ষকরা সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্স (গুগল ক্লাসরুম, জুম, হ্যাংআউট, স্কাইপ ইত্যাদি) ও নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার লাইভ ক্লাসরুম এর মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এটুআই, আইসিটি বিভাগসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইতোমধ্যে তৈরিকৃত এবং সম্ভাব্য সকল নিরাপদ উৎস হতে প্রাপ্ত শিখন-শেখানোর বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবে। ফলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে অবস্থান করেই কম্পিউটার/মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তা দেখে পাঠচর্চা চালিয়ে যেতে পারবে।

অভিভাবকরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেরা সতর্ক থেকে শিক্ষার্থীদেরও নিরাপদ রাখতে সচেষ্ট থাকবেন এবং ডিজিটাল এডুকেশন সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবেন।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অন্যান্য নিরাপদ মাধ্যম ও ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে পাঠচর্চা অব্যাহত রাখতে উদ্বুদ্ধ করবেন।

0Shares