গবেষণা-উদ্ভাবনের পরিবেশ না থাকলে উচ্চশিক্ষা পিছিয়ে পড়বে : ইউজিসি


Shikkha Songbad প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৩, ২০২৩, ৭:১৬ অপরাহ্ণ /
গবেষণা-উদ্ভাবনের পরিবেশ না থাকলে উচ্চশিক্ষা পিছিয়ে পড়বে : ইউজিসি
0Shares

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে উচ্চশিক্ষা পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। গবেষণায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতি উপকৃত হয়। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় দেশের উচ্চশিক্ষা খাত পিছিয়ে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ইউজিসির সভাকক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। ‘শিক্ষা বিভাগীয় কর্মচারী (শিক্ষক) কর্তৃক অর্জিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ও শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামঞ্জস্য নিরূপণ’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে ইউজিসি।

অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছরই বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা হচ্ছে। রিসার্চ জার্নালে পাবলিকেশনের মাধ্যমেই অনেক ভালো গবেষণা শেষ হয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রাপ্তিতে এসব গবেষণা সহায়ক হচ্ছে। কিন্তু গবেষণা করার ক্ষেত্রে এর ফলাফল দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কি না, সে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

সেমিনারে ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষাবিদ পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে ইউজিসির প্রতি আহ্বান জানান।

এতে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসিম বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক ও অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ও আইইআরের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মতিউর রহমান প্রমুখ।

0Shares