২০০০ আসন শূন্য রেখেই শেষ ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভর্তি


Shikkha Songbad প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ৪:৪১ অপরাহ্ণ /
২০০০ আসন শূন্য রেখেই শেষ ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভর্তি
0Shares

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গত ২১ আগস্ট ভর্তি ও ফি জমার শেষদিন ছিল। পরদিন ২২ আগস্ট মূল কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়। এরপর আর ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা বা কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুই হাজারের বেশি আসন এখনো শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন খোদ ভর্তি কমিটির সদস্যরা। একমাস পার হলেও শূন্য এসব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে কি না, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তও নিতে পারেনি গুচ্ছভর্তির কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার চারটি ধাপে গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ২২ আগস্ট চতুর্থ বা শেষ ধাপের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত কয়েকটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিসংখ্যক আসন শূন্য। এত আসন ফাঁকা রেখে ক্লাস শুরু করা হলে অনেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।

শূন্য আসনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিগগির সভা করা উচিত বলে মনে করেন গুচ্ছভর্তি কমিটির সদস্যরা।

এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনু বলেন, ‘শুনেছি গুচ্ছে অনেক আসন ফাঁকা। নির্দিষ্ট করে কতটি শূন্য তা জানি না। সেখানে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে তা নিয়ে হয়তো সামনের বৈঠকে আলোচনা হবে।’

অটো মাইগ্রেশন নাকি স্পট অ্যাডমিশন প্রক্রিয়ায় শূন্য আসনগুলো পূরণ করা হতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি তো আমি হুট করে বলতে পারি না। এটা আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্তের বিষয়। যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত, সেখানকার উপাচার্য এটা নিয়ে বৈঠক করবেন। এরপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তবে কোনো শিক্ষার্থী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং আসন যেন শূন্য না থাকে, সে বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনুর।

চলতি বছরের ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। এবছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

কর্তৃপক্ষ প্রথমে তিন ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২০-২৪ জুলাই প্রথম ধাপে ভর্তি শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ২৮-৩০ জুলাই এবং তৃতীয় ধাপে ৩-৫ আগস্ট চলে ভর্তি কার্যক্রম। তারপরও আসন শূন্য থাকায় চতুর্থ ধাপে ২০-২২ আগস্ট ভর্তি নেওয়া হয়।

অন্যদিকে প্রথমে ১০ আগস্ট থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তা পিছিয়ে ১৬ আগস্ট নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে আসন শূন্য থাকার জটিলতায় এখনো নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।

0Shares