চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান থানায় অবস্থিত। এর পূর্বতন নাম ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম এবং তার পূর্বে চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী এখানে প্রকৌশল, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা ও বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেন।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এটি ‘রাউজান’ উপজেলার ‘পাহাড়তলি’ ইউনিয়নে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্নরাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুয়েট ক্যাম্পাসের কাছেই অবস্থিত। এটি কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমটার দূরে ও বহদ্দারহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
‘ইমাম গাজ্জালি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ’ চুয়েটের বিপরীত পাশে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে কর্ণফুলী নদী বহমান।
চট্টগ্রামে একটি প্রকৌশল শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ২৮ ডিসেম্বর,১৯৬৮ সালে ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ’ নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে এটি যাত্রা শুরু করে। ভর্তি শুরু হয় ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষ হতে।১লা জুলাই ১৯৮৬ সালে এটি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি,(বিআইটি) চট্টগ্রাম রুপে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০৩ সালে একটি সরকারী অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়া হয়।
এছাড়া বিআইটি ঢাকা, বিআইটি খুলনা ও বিআইটি রাজশাহী নামে আরো ৩টি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ছিল যেগুলি পরবর্তিতে যথাক্রমে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তে রূপান্তর করা হয়।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়েটের তারেক হুদা এবং মোঃ শাহ নামের ২ জন ছাত্র শহীদ হন। তাদের নামে বর্তমানে ছাত্রদের দুটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে- শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল এবং শহীদ তারেক হুদা হল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত চুয়েট ক্যাম্পাস ১৬৯ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অনুষদের জন্য আলাদা ভবন, প্রশাসনিক ভবন, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবন, ওয়ার্কশপ, গবেষণাগার, ছাত্র/ছাত্রী নিবাস, শিক্ষকদের কোয়ার্টার, ক্যান্টিন, শহীদ মিনার, সোনালি ব্যাংকের শাখা, পোস্ট অফিস, মসজিদ, কনফেকশনারি, মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ক্যাম্পাস এলাকার ভেতরেই রয়েছে একটি প্রাকৃতিক হ্রদ, কয়েকটি পাহাড় ও নানান ধরনের গাছগাছালি। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একটি সুবিশাল মাঠ রয়েছে। ক্যাম্পাসে ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টি হল এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ১ টি হল (আরেকটি হল নির্মাণাধীন) রয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ইলেক্ট্রিকাল সাবস্টেশন রয়েছে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ’ অবস্থিত।
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের উদ্দেশ্যে চুয়েটে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। এটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক এখানে চিকিৎসা কার্যে নিয়োজিত আছেন। গুরুতর রোগীদের মেডিকেল সেন্টারের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বড় হাস্পাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থী,কর্মচারী ও শিক্ষকদের জন্য চুয়েটে ৫৬০ বর্গমিটার আয়তনের একটি মসজিদ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ৩টি ক্যান্টিন রয়েছে। এর মাঝে দুটি ক্যান্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট থেকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশপথে গোলচত্তরের বাম পাশে অবস্থিত এবং অপর একটি পুরকৌশল ভবনের পেছনে অবস্থিত। এছাড়াও একটি ক্যাফেটেরিয়া ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০০ আসনের একটি কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। বছরের বিভিন্ন সময়ে মিলনায়তনে বিভিন্ন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, চলচিত্র উৎসব ইত্যাদির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা গোলাকার লাইব্রেরি ভবনটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। লাইব্রেরিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীর একসাথে অধ্যয়ন করার ব্যবস্থা আছে। চুয়েট লাইব্রেরিতে রেফারেন্স ও জার্নালের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। লাইব্রেরী কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বই নিতে পারে। প্রতিদিন ৫টি ভিন্ন দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়। এছাড়া বেশ কিছু ম্যাগাজিনের নিয়মিত সকল সংস্করণ রাখা হয়।এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ফটওস্ট্যাট করার ব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য এখানে ইন্টারনেট সংযোগ সহ পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্পিউটার রয়েছে।
চুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৭টি বাস সাপ্তাহিক কার্যদিবসগুলোতে ক্যাম্পাস ও শহরের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। বাসগুলো প্রতি কার্যদিবসে তিনবার শহর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের আনা-নেওয়া করে । কাপ্তাই-রাস্তায় সাধারণ পরিবহন হিসেবে সিএনজি-আটোরিক্সা এবং লোকাল বাস চলাচল করে থাকে। তবে রাত ৮:০০ টার পর সাধারণ পরিবহন বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের যাত্রাসূচি: ১.সকাল ৫:৩০ থেকে ৬:০০ এর মধ্যে সবগুলো বাস ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। ৭:০০ টায় নিউমার্কেট থেকে পুনরায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ২.দুপুর ২:০০ টায় ক্যাম্পাস থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যায় এবং সাথে সাথে ফিরতি যাত্রা করে। ৩.বিকেল ৫:০০ টায় ক্যাম্পাস ছেড়ে নিউমার্কেট রওনা করে। নিউমার্কেট থেকে উক্ত বাসগুলো রাত ৮:০০ টায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এ বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে ১৩ টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদের নাম | বিভাগ সমূহ | স্নাতক শ্রেণীতে আসনসংখ্যা |
তড়িৎ এবং কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদ |
|
|
পুরকৌশল অনুষদ |
|
|
যন্ত্র প্রকৌশল অনুষদ |
|
|
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ |
|
|
স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ |
|
|
চুয়েটে স্নাতক শ্রেণীতে লেভেল -১ টার্ম-১ এ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় । ভর্তির শিক্ষার্থী বাছাই একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। সাধারণত অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ভর্তি ফর্ম প্রকাশ হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে একটি ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট থাকলে একজন ভর্তিচ্ছুক ফর্ম সংগ্রহ করতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য উল্লেখিত ৪টি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেডপয়েন্ট অনুসারে প্রথম ১০০০০ জনের একটি তালিকা(শর্টলিস্ট) প্রকাশ করা হয়। এই ১০০০০ জন পরীক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় এবং তাদের মধ্য থেকে মেধাতালিকার প্রথম ৮৩০ জন কে ভর্তি করানো হয়। ১০০০০ তম শিক্ষার্থীর সমান জিপিএ প্রাপ্ত সকলকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় এবং শর্টলিস্টে অনির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি ফেরত দেওয়া হয় প্রসেসিং ফি বাদ দিয়ে। “ক” ও “খ” এই দুটি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শুধু প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর পরিকল্পনা বিভাগের জন্য “ক” বিভাগে এবং প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিভাগের জন্য “খ” বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। “ক” বিভাগের পরীক্ষা লিখিত পদ্ধতিতে নেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া “খ” বিভাগের ভর্তিচ্ছুদের ২ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠেয় মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি তে ভর্তির জন্য স্নাতক শ্রেনীর প্রাপ্ত সিজিপিএ বিবেচনা করা হয় এবং ভর্তিচ্ছুদের ইন্টারভিউ গ্রহণ করা হয়।
স্নাতক শ্রেণীতে প্রতিটি লেভেল (শিক্ষাবর্ষে) দুটি করে টার্ম থাকে।চার লেভেল শেষ হলে একজন শিক্ষার্থী তার স্নাতক সম্পন্ন করে থাকে।এই ২টি টার্ম হল টার্ম-১, টার্ম-২ এছাড়া আছে শর্ট টার্ম। টার্ম ১ ও ২ প্রতিটি ১৯ সপ্তাহ করে এবং শর্ট টার্ম ২ সপ্তাহ ক্লাস চলাকালীন । টার্ম ১ ও ২ এ ১৩ সপ্তাহ করে ক্লাস, মিড টার্ম ১ সপ্তাহ । টার্ম ব্রেক ১ সপ্তাহ। পরীক্ষা পূর্ব প্রস্তুতি প্রতি পরীক্ষার আগে ৬ দিন,সুপার ডিএল পদ্ধতি। ৫ সপ্তাহ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি সপ্তাহে ৫টি কার্যদিবস। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।সকল পরীক্ষার ফলাফল গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হয়।
চুয়েটে শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। পরীক্ষার মাধ্যমও ইংরেজি। সকল প্রশাসনিক কাজকর্মে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। বাংলা ভাষা দ্বিতীয় একাডেমিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রনীত সিলেবাস অনুসারে এখানে পাঠদান করা হয়। উল্ল্যেখ্য দেশের ৪টি সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সিলেবাস অনুসরণ করা হয়।
বর্তমানে ২টি ইনস্টিটিউট এবং ৩টি সেন্টার রয়েছে। এগুলো হল –
হলের নাম | প্রভোস্ট | আসনসংখ্যা |
শহীদ মোঃ শাহ হল (সাউথ হল) | ড. মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ | ৪১৫ |
ডঃ কুদরত-ই-খুদা হল | ড. শামসুল আরেফিন | ৪৩৩ |
শহীদ তারেক হূদা হল (নর্থ হল) | ড. আবদুর রশীদ | ৩৭৬ |
সুফিয়া কামাল হল (মহিলা হল) | ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধর | ২০০ |
বঙ্গবন্ধু হল | ড. দেলোয়ার হোসেন | ৫৭২ |
শেখ রাসেল হল | ড. কামরুল ইসলাম | ৪০০ |
বর্তমানে ছাত্রীদের জন্য একটি হলের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে যা সুফিয়া কামাল হলের পাশেই অবস্থিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ৮ই এপ্রিল। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ এতে উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান একজন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মোট ১৪০৩ জন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৯৯৬-২০০২ সালে পাস করা শিক্ষার্থীদেরকে সনদ প্রদান করা হয়। ৭জন শিক্ষার্থীকে ভাল ফলাফলের জন্য স্বর্ন পদক প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২৯শে নভেম্বর ২০১২। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আাচার্য মো. জিল্লুর রহমানের মননোনয়নে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল শিক্ষাবিদ প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে পূরকৌশল বিভাগের ৫১৫ জন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের ৪৬৬ জন, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ৪৯৯ জন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৮ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এম.ফিল-এ পাঁচজন এবং আরো পাঁচজনকে এমএসসি ডিগ্রি দেয়া হয়। সর্বমোট ১৭১৮ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে চুয়েটের চার শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তন ১৪মার্চ ২০১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য উক্ত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক চারজনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। স্নাতক, মাস্টার্স, স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ও পিএইচডি পর্যায়ে সর্বমোট ১৬০৩ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
সূত্র : উইকিপিডিয়া
আপনার মতামত লিখুন :