দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সপ্তাহে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, তা নির্ধারণ করে প্রণয়ন করা ‘টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালা-২০২২’ অনুমোদন দিয়েছে ইউজিসির পূর্ণ কমিশন। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণ কমিশন সভায় এই নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইউজিসির প্রণয়ন করা খসড়া নীতিমালাটিই প্রায় হুবুহু অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ইউজিসির একজন সদস্য। আর এর মূল উদ্দেশ্যে হলো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কতসংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন, সেটি নির্ধারণ করা।
এই নীতিমালা অনুযায়ী সপ্তাহে একজন শিক্ষকের মোট কর্মঘণ্টা হবে ৪০। শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া, গবেষণাগার (ল্যাবরেটরি) পরিচালনা, থিসিস সুপারভিশন ইত্যাদি কাজে গড়ে ১৩ ঘণ্টা ব্যয় করতে হবে একজন শিক্ষককে। বাকি সময় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, গবেষণা, বই বা প্রবন্ধ লেখা ও বিভাগের প্রশাসনিক কাজে ব্যয় করতে হবে।
টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালা সম্পর্কে সভার সভাপতি ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, এ নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কতসংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন হবে, তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। এ ছাড়া এই নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিভাগের জন্য জনবল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদেরা এই নীতিমালা প্রণয়নে ইউজিসিকে সহযোগিতা করেছেন। এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য এটি শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে।
ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ণ কমিশনের সভায় এই নীতিমালা ছাড়াও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা নিয়োগ নীতিমালা এবং ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ সংশোধিত নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সভায় ইউজিসির তিনজন অতিরিক্ত পরিচালক এবং ১৪ জন সহকারী পরিচালক বা সমমানের কর্মকর্তার নিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় কার্যপত্র তুলে ধরেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক মো. আবু তাহের, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সেলিনা আখতার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এডুকেশনের ডিন অধ্যাপক সুফিয়া বেগম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের ডিন কমোডর এম সাজেদুল করিম, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আহসান।
আপনার মতামত লিখুন :