কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়া ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। আগামী নভেম্বর মাসে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। যদিও অক্টোবরেই পরীক্ষা আয়োজন করতে চেয়েছিল পিএসসি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পিএসসি’র নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সভায় প্রাথমিকভাবে এ আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষা আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
কমিশনের সভায় উপস্থিত পিএসসির শীর্ষ এ কর্মকর্তা বলেন, ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্ন মডারেশন, পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণসহ বেশ কিছু কাজ করতে হবে। এ কাজগুলোর জন্য কমপক্ষে দেড় মাস সময় লাগবে। সে হিসেবে নভেম্বরের আগে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধের পর যে কোনো সময় পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরীক্ষা যখনই আয়োজন করা হোক না কেন পরীক্ষার্থীদের তা দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানায় পিএসসি। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৬তম বিসিএসের লিখিত (আবশ্যিক ও পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়) পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এই বিসিএসে সব মিলিয়ে ক্যাডার পদ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে জেনারেল ক্যাডারে পদ রয়েছে ৪৮৯টি। আর টেকনিক্যাল (প্রফেশনাল) ক্যাডারে পদ রয়েছে ২ হাজার ৭৪টি।
এ ছাড়া এই বিসিএসের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষায় ৫২০ জন ও কারিগরি শিক্ষায় ৫৭ জন সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাবেন। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :