৩০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে ইউজিসি’র সতর্কতা


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : আগস্ট ১০, ২০১৯, ৮:৪০ অপরাহ্ণ / ৭৪৬
৩০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে ইউজিসি’র সতর্কতা
0Shares

শিক্ষা সংবাদ: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র কতৃপক্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভর্তিইচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা’ শিরোনামে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কেউ অনুমোদনহীন কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাসে অথবা অননুমোদিত কোনো প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তি হলে তার দায়-দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি নেবে না।”

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর অধীনে  বর্তমানে দেশে ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে তার মধ্যে সম্প্রতি অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়টির শিক্ষা কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অবস্থা :-

১. অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা:

ইবাইস ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টি দুই ভাগে বিভক্ত এবং একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছে। দ্বন্দ্ব নিরসন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়েও একটি গ্রুপ আদালতে মামলা দায়ের করে উক্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে।

ইউজিসি বলছে, ধানমণ্ডি ও উত্তরায় দুটি ক্যাম্পাস থাকলেও বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই।

২. আদালতের রায় নিয়ে পরিচালিত:

সরকার বন্ধ করলেও আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এবং সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

৩. অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনা:

অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, এনপিআই ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি।

৪. বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দ্বন্দ্ব:

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দ্বন্দ্বের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। ইবাইস ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনালজি।

৫. অনঅনুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা:

ইউজিসির অনুমোদন না নিয়েই সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ’বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ এবং জে এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ’এম এ ইন ইংলিশ’ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে।

৬. অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম এখনও চালু হয়নি:

নয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম এখনও চালু হয়নি। এর মধ্যে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদাম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছান বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া রয়েছে।

৭. শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায়নি:

কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণ করতে না পারায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায়নি।

৮. গণ বিশ্ববিদ্যালয়:

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, এমবিবিএস, বিডিএস এবং ফিজিওথেরাপি প্রোগ্রাম ‘অনুমোদিত বা বৈধ’ বলে বিবেচিত হবে না

৯. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়:

আদালতের আদেশের ফলে বন্ধ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে ইউজিসির তালিকায়। এতে বলা হয়, আদালতের আদেশ বলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইহার সকল আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

আরো বিস্তারিত জানতে নিচের বিজ্ঞপ্তি দেখুন:-

সূত্র: ইউজিসি ওয়েবসাইট – ugc.gov.bd

0Shares