
বুধবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার শিক্ষার্থী।
“সারাদেশের ৫৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগের সময়সূচি অনুযায়ী ২ এপ্রিলই হবে।”
মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে রোজার ঈদের পর তা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ।
এ বিষয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদনও হয়েছিল, তবে তা টেকেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার সব ব্যবস্থা হয়েছে। মাস্ক পরে কেন্দ্রে যেতে হবে, স্যানিটাইজ করতে হবে। কেন্দ্রের বাইরেও এসব ব্যবস্থা থাকবে।”
তিনি জানান, পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে, আশপাশে কোনো ফটোকপির দোকানও খোলা রাখা যাবে না।
অন্যবছর ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। সেই ফলাফল প্রকাশের পর মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাধারণত অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু এবার মহামারীর কারণে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এইচএসসির মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। তাতে পাস করেছে পৌঁনে ৪ লাখ শিক্ষার্থীর সবাই।
তবে মেডিকেলে এবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে আগের নিয়মেই। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে আরও ১০০ নম্বর- অর্থাৎ মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে জাতীয় মেধাভিত্তিক তালিকা করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে মেডিকেল কলেজগুলোতে।
২ এপ্রিল মেডিকেল কলেজগুলোর এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার পর ৩০ এপ্রিল ডেন্টালের বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
leave your comments