বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে বয়সসীমা, একাধিকবার পরীক্ষায় বাঁধা নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : জুলাই ২০, ২০২২, ৫:৫২ অপরাহ্ণ / ৭১৪
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে বয়সসীমা, একাধিকবার পরীক্ষায় বাঁধা নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর
0Shares

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কেন উচ্চশিক্ষার জন্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার সুযোগ সারা বিশ্ব যখন অবারিত করছে, তখন আমরা কেন দেয়াল তুলছি? শিক্ষার্থীরা কেন নির্দিষ্ট বয়স এবং একবারের বেশি ভর্তির সুযোগ পাবে না– এটি আমার বোধগম্য নয়।’

বুধবার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। যখন সারা বিশ্ব সবকিছুতে সুযোগ অবারিত করার কথা বলছে, মানসম্মত শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আমরা যখন বলছি জীবনব্যাপী শিক্ষা, তখন আমরা সব জায়গায় কেন দেয়াল তুলছি? কেন নির্দিষ্ট বয়সে ভর্তির কথা বলছি। কেন বলছি একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবো না? আমি আইন নিয়ে পড়েছি, কেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে পারবো না? ডিপ্লোমায় আছি, কেন সাহিত্য নিয়ে পড়তে পারবো না? কেন নির্দিষ্ট বয়সের পর আর ভর্তি হতে পারবো না। কেন একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবো না। এ বিষয়গুলো দেখতে হবে। শিক্ষার্থীর জীবনের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া– এটা বোধহয় ঠিক না।’

শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করছি। আমার কতটা জায়গা আছে, কত শিক্ষার্থীকে সব ধরনের সুবিধা দিয়ে সঠিক শিক্ষার পরিবেশ দিতে পারবো তা মাথায় নিচ্ছি না। কত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছি তা নিয়ে আমরা ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান ও অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের কথা। একশ’ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় যে বিষয়টি খুলেছিল সেটি আজও একইভাবে প্রাসঙ্গিক কিনা– সেটি দেখতে হবে।’

অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, ‘এতে যে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ণয় করা হচ্ছে তাই নয়, প্রতিষ্ঠান নিজেই সেলফ অ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজেই মান বাড়াতে পারে। অনেক কিছু শেখা হবে। আমাদের অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের পথচলা শুরু হয়েছে। তার সুফল সব প্রতিষ্ঠান পেতে শুরু করবে। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে সবকিছু প্রায় গুছিয়ে আনার একটি কাজ হয়েছে।’

0Shares