বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : জুলাই ২০, ২০২২, ৬:৩৭ অপরাহ্ণ / ৩১১
বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
0Shares

শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে মান নির্ণয় করা হচ্ছে তাই নয়, প্রতিষ্ঠান নিজেই সেলফ অ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় তার মধ্যদিয়ে নিজেই মান বাড়াতে পারবে। অনেক কিছু শেখাবে। আমাদের অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের পথচলা শুরু হয়েছে তার সুফল সকল প্রতিষ্ঠান পেতে শুরু করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে সব কিছু প্রায় গুছিয়ে আনার একটি কাজ হলো।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এতদিন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজেদের মধ্যে সমতা বিধানের কোনও প্রক্রিয়া ছিল না। আমাদের যেখানে নিজস্ব কোনও মানদণ্ডই ছিল না। ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক ছিল না সেখানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন কতটা প্রাসঙ্গিক তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা এই অ্যাক্রিডিটিশন প্রক্রিয়ার একটি বিশাল দায়িত্ব। এ জন্য আমরা বাংলাদেশ কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক করেছি। এটির যদি যথাযথ বাস্তবায়ন আমারা করতে পারি তাহলে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাবে।

সচিব বলেন, দেশ উন্নত হতে হলে যুবসমাজের বড় অংশ উচ্চশিক্ষিত হতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ৯৮ শতাংশ যুবশক্তি গ্র্যাজুয়েট। আমাদের  দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে সে পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। দেশের উচ্চশিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য না হলে বিশ্ববাজারে চাকরি পাওয়া যাবে না। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সততা, যোগ্য নেতৃত্ব, বিদ্যমান সুযোগ সুবিধার আলোকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও ডিপার্টমেন্ট সংখ্যা সীমিত রাখা, শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা,  গবেষণা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধার সম্পর্ক- এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এ সংক্রান্ত আইন পাস করা হয় সংসদে। চেয়ারম্যান দায়িত্ব পান ২০১৮ সালে। আইন হওয়ার পর পাঁচ বছরেই আমাদের কার্যক্রমটি শুরু করতে পেরেছে কাউন্সিল। বিধিবিধান তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বুধবার (২০ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রক্রিয়া শুরু হলো।

0Shares