আগামী ৩১ মে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। দীর্ঘ ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ কিছু নিয়ম মানা সাপেক্ষে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

বুধবার (২৭ মে) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দেয়া এ সংক্রান্ত ফাইল আমরা পেয়েছি। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নির্দেশনার প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারব বলে আশা করছি।

তিনি জানান, বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলারা আপাতত অফিসে আসবেন না, গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছুটি ৩০ মে শেষ হচ্ছে। ছুটি আর বাড়ছে না। কিন্তু কিছু বিধি-নিষেধসহ নাগরিক জীবন সুরক্ষিত রেখে আমরা সীমিত আকারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে যাচ্ছি। তবে সবকিছু একেবারে খুলে দেয়া হচ্ছে না। আমরা খুলতে যাচ্ছি তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চালু হবে। তবে বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

তিনি বলেন, আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কঠোরভাবে বিধি-নিষেধ মেনে অফিস খোলা থাকবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও চলবে। হাটবাজার, দোকান-পাট সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো খুললেও মিটিং অনলাইনেই করতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াতের ব্যাপারে আগের মতোই কঠোরতা বজায় থাকবে, বরং এখন আরও বেশি থাকবে। মানুষ যাতে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে না পারে সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি জেলার প্রবেশমুখে ও বহির্গমনের স্থানে চেকপোস্ট বসাতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু অনলাইন বা ভার্চুয়াল ক্লাস চলবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সড়ক পথে কোনো গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য স্টাফ বাসগুলো চালানো যাবে। ব্যক্তিগত হালকা যানবাহনও চালানো যাবে। বিমান সংস্থাগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চালাতে পারবেন বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আগের মতোই চালু থাকবে। সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে।