পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি না কিনাসহ ব্যয় সংকোচনের নির্দেশ


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : জুলাই ২৬, ২০২২, ৫:২৭ অপরাহ্ণ / ৮৮১
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি না কিনাসহ ব্যয় সংকোচনের নির্দেশ
0Shares

সরকারের ব্যয় সংকোচন পরিপত্র অনুসরণ করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট যথাযথভাবে ব্যয় ও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা (এপিপি) প্রণয়ন করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে প্রণীত এপিপি আগামী ৩১ জুলাই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সফটওয়্যারে আপলোড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বরাদ্দকৃত বাজেট সঠিকভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র বা আদেশ বা অনুশাসন পালনসহ ‘বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা‌’ শীর্ষক এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে সরকারি নিয়মাচার ও সময়ে সময়ে জারিকৃত সরকারি পরিপত্র বা আদেশ প্রতিপালনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। আমি সংশ্লিষ্টদের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি এসব নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

সভায় জানানো হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে সব রকম যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে। শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনোহরী, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

এতে আরও জানানো হয়, দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। পেট্রোল, ওয়েল, লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে।

এছাড়া উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সকল প্রকার প্রকল্প বা কর্মসূচি বা স্কিমসমূহের ক্ষেত্রে সম্মানী খাতে বরাদ্দ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানী বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

সভা বা সেমিনার বা ওয়ার্কশপ বা প্রশিক্ষণ যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। উল্লিখিত খাতসমূহে অব্যয়িত অর্থ অন্য কোনো খাতে স্থানান্তর বা পুনঃউপযোজন করা যাবে না বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় পরিকল্পনা‌ কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম, বাজেট শাখার উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের রেজিস্ট্রার, হিসাব বিভাগীয় প্রধান ও প্রকৌশল দপ্তরের প্রধানরা অংশ নেন।

0Shares