চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প পদ্ধতির ঘোষণা ঈদের পর


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : জুলাই ৯, ২০২১, ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ / ৬০০
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প পদ্ধতির ঘোষণা ঈদের পর
0Shares

চলতি বছরের ঝুলে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। ইতোমধ্যে এ কমিটি একটি প্রস্তাব পাঠালেও তাতে কিছুটা সংশোধন করা হচ্ছে। পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে ঈদের পর বিকল্প পদ্ধতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮৪ দিনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করা হবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সেটির ওপর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা নেয়া অসম্ভব তা শিক্ষামন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিকল্প পদ্ধতি খোঁজা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জাগো নিউজকে বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প কী হতে পারে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি কাজ করছে। সেটি চূড়ান্ত হলে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিদের সামনে তুলে ধরবেন।’

চলতি মাসের শেষ দিকে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

কমিটির একাধিক প্রস্তাবে দেখা গেছে, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেয়া। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেয়া। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা।

পাশাপাশি ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেয়া হবে। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। অর্থাৎ সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এই পরীক্ষা নেয়া হবে।

এমনটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাস অ্যাকটিভিটিসের ওপর ৫০ শতাংশ ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা হতে পারে। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল দেয়া হতে পারে।

0Shares