অনলাইনে ভর্তি ও পরীক্ষার ফরম পূরণবিষয়ক এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। ডিজিটালাইজেশনের অগ্রযাত্রায় এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন মাইলফলক।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গতকালের সভায় সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনুষদগুলোর ডিন ও ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সহ-উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, নতুন সিদ্ধান্তটির ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ওয়েব লিংকে প্রবেশ করে নিজ নিজ বর্ষে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন। বিভাগ–ইনস্টিটিউট, হলসহ অন্যান্য যাবতীয় পাওনা তাঁরা ক্যাম্পাস খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দিতে পারবেন। এসব ফি দেরিতে দিলে যে বিলম্ব ফি বা জরিমানা দিতে হয়, তা মওকুফ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। এর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস ও মিডটার্ম পরীক্ষা হলেও বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো আটকে আছে।
আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বিভাগ-ইনস্টিটিউটগুলোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনলাইন ও সশরীর—বিভাগভেদে দুই পদ্ধতিতেই পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই পরীক্ষা ও নতুন বর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রামের বাড়িতে থাকা শিক্ষার্থীদের সশরীর ঢাকায় এসে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি জমা দিতে হতো। এখন এসব ফি অনলাইনে দেওয়া এবং হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পাওনা দেরিতে দেওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করার ফলে এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
আপনার মতামত লিখুন :