২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সোমবার (১৪ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে। এ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ ও মূল্যায়ন নির্দেশনা ও প্রথম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। রোববার (১২ জুন) এ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়।
এ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনায় অধিদপ্তর বলছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেনি এবং তাদের মূল্যায়ন করা যায়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে এনসিটিবি ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে পুনর্বিন্যাস করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য এনসিটিবি কর্তৃক বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশনাসহ (রুবিক্সসহ) এ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল নির্ণয় করা হবে। পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সপ্তাহভিত্তিক শিক্ষার্থী মূল্যায়ন বিবেচনায় নিয়ে এ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১২ জুন) অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে, চলমান করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে না পারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য বিষয়ভিত্তিক মুল্যায়ন রুব্রিক্সসহ এ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম ১৪ জুন (সোমবার) থেকে শুরু হবে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, করোনা অতিমারির কারণে যথামম স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দেশের যে সকল এলাকায় লকডাউন চলছে সে সকল এলাকার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা আঞ্চলিক পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কোনোক্রমেই স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা উপেক্ষা করা যাবে না।