২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেলে এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি ২২ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : মে ২৩, ২০২১, ৫:৩৬ অপরাহ্ণ / ৩৭৩
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেলে এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি ২২ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত
0Shares

গত সোমবার (১৭ মে) দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তির সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর কথা জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি ২২ মে শুরু হয়ে আগামী ৭ জুন শেষ হবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এ আদেশ প্রযোজ্য।

নানা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। এরপরে ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি ও ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ মে শুরু হয়ে ৩১ মে পর্যন্ত এমবিএস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম চলার কথা ছিল। এক সপ্তাহ বেড়ে এখন ভর্তির শেষ সময় ৭ জুন পর্যন্ত।

সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বিদেশি শিক্ষার্থী ও বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি মন্ত্রণালয়।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে অনেক আগেই। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন। আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে তাঁদের মধ্যে প্রথম ৪ হাজার ৩৫০ জন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য নির্বাচন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২ এপ্রিল সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে একযোগে মেডিকেলে ভর্তির জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৩৫০ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নির্বাচিত হন। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ২৩০টি।

আর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৮৭টি, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলার জন্য রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে ১৩ আসন ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ২০টি নিয়ে ৩৩টি সংরক্ষিত আসনসহ মোট আসন ৪ হাজার ৩৫০টি। একই সঙ্গে মেধাভিত্তিক ১ হাজার ৪২ জনকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। আসন শূন্য হলে মেধা ও পছন্দ অনুযায়ী তাঁরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।

0Shares