শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন অন্য প্রতিষ্ঠানে থাকছে না সচিব পদ-পদবি


শিক্ষা সংবাদ প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৪, ২০২০, ৫:৪০ অপরাহ্ণ / ৩৮৮
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন অন্য প্রতিষ্ঠানে থাকছে না সচিব পদ-পদবি
0Shares

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের অধীন অফিসগুলোয় ‘সচিব’ পদ না রাখার নির্দেশনা জারি করেছ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীন অফিসগুলোতে সরকারি পদ-পদবি না রাখার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি পদনাম অপব্যবহার করায় এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা ছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রে।

সরকারের কয়েকটি বিধি দিয়ে সরকারি পদনাম ও পদবি (সহকারী সচিব, উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব, ও সিনিয়র সচিব) নির্ধারিত। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউজিসিসহ বেশ কয়েক প্রতিষ্ঠানে ‘সচিব’ পদ নিয়ে বিড়ম্বনা তৈরি হয়।

গত ১৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা উল্লেখ করে জানায়, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীন অফিসগুলোতে পদনাম ও পদবি সৃষ্টির ক্ষেত্রে সরকারি পদনাম ও পদবি ‘সহকারী সচিব’, ‘উপ-সচিব’, ‘যুগ্ম-সচিব’, ‘অতিরিক্ত সচিব’, ‘সচিব’ ও ‘সিনিয়র সচিব’যেন ব্যবহার না হয় এবং ইতোপূর্বে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান ত্রুটি/বিভ্রান্তি নিরসনে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী সরকারের ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পদনামগুলো পরিবর্তন করে গ্রেড অনুযায়ী অনুরূপ ক্ষেত্রে দফতর সংস্থার জন্য প্রযোজ্য পদনাম অন্তর্ভুক্ত করে পদনাম সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলসহ ২৫টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। দুই দফায় এই চিঠি দেওয়া হলো।
‘মন্ত্রণালয়/বিভাগে ব্যবহৃত সরকারের বিভিন্ন পদনাম ও পদবিসমূহের বিধি বহির্ভূত ব্যবহার’ নিয়ে এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৫(৬)-এর আলোকে প্রণীত রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬, সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০১৪ এবং অন্যান্য বিধি দ্বারা সরকারের বিভিন্ন পদনাম ও পদবি সংজ্ঞায়িত। সরকারের সিনিয়র সচিব/সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব ও সহকারী সচিব পদসমূহে ক্যাডার কর্মকর্তাগণের নিয়োগ ও পদোন্নতি ‘সরকারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, সরকারের পদনামগুলো বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/সংগঠন, অধস্তন অফিস ও সংযুক্ত দফতরগুলো এবং বেসরকারি অফিসগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে। উপরে উল্লিখিত বিধিমালা দ্বারা নিয়োগ বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত নন এমন ব্যক্তি সরকারের পদনামগুলো অনুমোদিত ব্যবহারের ফলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিধি বহির্ভূতভাবে বা আংশিক পরিবর্তন করে উল্লিখিত সরকারি পদনামগুলো ব্যবহার নৈতিকতা পরিপন্থী এবং ‘দণ্ডবিধি-১৮৬০’ ও ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা প্রদান করে যে, মন্ত্রণালয়/বিভাগের অধীন অফিসগুলোতে পদনাম ও পদবি সৃজনের ক্ষেত্রে সরকারি পদনাম ও পদবি ‘সহকারী সচিব’, ‘উপ-সচিব’, ‘যুগ্ম-সচিব’, ‘অতিরিক্ত সচিব’, ‘সচিব’, ও ‘সিনিয়র সচিব’ যেন ব্যবহৃত না হয় এবং ইতোপূর্বে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান ত্রুটি/বিভ্রান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সরকারের মন্ত্রণালয়/বিভাগ, সংযুক্ত দপ্তর ও অধীন অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্ব স্ব সাংগঠনিক কাঠামোতে অনুমোদিত পদনাম ও পদবি পূর্ণাঙ্গ ও সঠিকভাবে তাদের দাফতরিক সিলমোহর, নেমকার্ড, নেমপ্লেট, নথি এবং ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে হবে।

রাষ্ট্রীয়/জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রক্ষিত কর্মকর্তাদের তালিকা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

পরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পরিপত্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও জানতে চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

0Shares