এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের চেষ্টা, শিক্ষা বোর্ডগুলোর আংশিক খুলছে

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের চেষ্টা চলছে। টানা ৪১ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সব শিক্ষা বোর্ডগুলোর আংশিক খোলা হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় স্থানীয় ডাক বিভাগের সহায়তায় উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) বোর্ডগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। মে মাসের শেষের দিকে এ ফল প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চলতি মে মাসের শেষের দিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এ লক্ষ্যে দেশের সব পরীক্ষকের কাছে জমা থাকা পরীক্ষার উত্তরপত্র ১০ মে’র মধ্যে স্থানীয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বোর্ড অফিসে পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর যাদের সুযোগ রয়েছে তারা যেন সরাসরি বোর্ডে এসে উত্তরপত্র জমা দিয়ে যান। তবে শহরের বাইরে যারা রয়েছেন, কিংবা যাদের পোস্ট অফিসের সুযোগ নেই তাদের উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রত্যেক শিক্ষা বোর্ডের তালিকায় থাকা প্রধান পরীক্ষকদের মোবাইল ফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নিজ দায়িত্বে পোস্ট অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকের মাধ্যমে উত্তরপত্র আগামী ১০ তারিখের মধ্যে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে দেন। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এবারও স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএস করে পরীক্ষা ফল জানা যাবে। তবে ঘরের বাইরে না গিয়ে কীভাবে সহজেই শিক্ষার্থীদের কাছে ফলাফল পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়টি নিয়েও শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

এই বিষয়ে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনির্ধারিত গত ৪১ দিন শিক্ষা বোর্ডগুলো বন্ধ ছিল। এ কারণে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হলেও বাকীটা শেষ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবহন বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে উত্তরপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ১০ মের মধ্যে সব উত্তরপত্র বোর্ডে জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফলাফল প্রস্তুতের জন্য আগামীকাল  (বৃহস্পতিবার) থেকে সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখাগুলো খোলা হবে।  প্রয়োজনে বোর্ডের কাজ দুই শিফটে করে ফল তৈরির কাজ শেষ করা হবে। আশা করি চলতি মে মাসের শেষের দিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করতে পারব।