এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য সুখবর। ঈদের আগেই এমপিওর টাকা হাতে পাবেন তারা। এমপিওর জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২ মে থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। ১৩ মের মধ্যে শিক্ষকদের এমপিও আবেদন ইমআইএস সেলে পাঠাতে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, মে মাস থেকেই তাদের এমপিও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মে মাসের শুরু থেকেই শিক্ষকদের এমপিও আবেদন প্রক্রিয়া করা হবে।
নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আবেদন পাঠানোর সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এছাড়া ইএমআইএস সেলে প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন ও শিক্ষকদের এমপিও আবেদনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল-কলেজের এবং বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে কারিগরি ও মাদরাসার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। মোট ২ হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে ২ হাজার ৬৫০টি প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৬৩৩টি স্কুল-কলেজ ও ৯৮২টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসা রয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য মোট ১ হাজার ৬৩৩টি স্কুল-কলেজ চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন। যদিও গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় ১ হাজার ৬৫১টি স্কুল-কলেজ স্থান পেয়েছিল। ৯টি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, ৪টি মাধ্যমিক স্কুল, ১টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ৪টি ডিগ্রি কলেজ চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৮৩ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ২৬৩টি বিএম কলেজ, ৬০টি কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান এবং ১৬০টি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান। আর তালিকা থেকে ২০টি বিএম কলেজ, ১৭টি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ও ২টি কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
৪৯৯ মাদরাসার মধ্যে ৩২৪টি দাখিল মাদরাসা, ১১৯টি আলিম মাদরাসা, ৩৪টি ফাযিল মাদরাসা ও ২২টি কামিল মাদরাসা চূড়ান্ত তালিকায় আছে। আর তালিকা থেকে ৩৪টি দাখিল মাদরাসা, ৯টি আলিম মাদরাসা, ৮টি ফাযিল মাদরাসা এবং ৭টি কামিল মাদরাসা চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছে।